এই অভিযানের মধ্যেই শনিবার রাতে জোড়া বিস্ফোরণে পুলিশসহ ছয়জন নিহত হওয়ার পর শিববাড়ি থেকে নগরীর কদমতলী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।
মধ্যরাত থেকে ওই এলাকায় কোনো যানবাহন চালাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং জনসাধারণের চলাচলও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে বলে সিলেটের পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন।
এর মধ্যে সকাল ১০টার আগে ও পরে দুটি, বেলা পৌনে ১২টার দিকে একটি এবং পৌনে ৩টার দিকে আরও একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।
শিববাড়ির পাঠানপাড়া এলাকায় পাঁচতলা ওই বাড়ি ঘিরে এ অভিযান শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরুর পর ওই বাড়ির বিভিন্ন তলা থেকে ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।
ওই অভিযান নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করার পর কাছেই একটি জায়গায় দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন র্যাব-পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৪৩ জন।
এদের মধ্যে কাদিমের পরিচয় রাতে জানা সম্ভব না হলেও সকালে স্বজনরা হাসপাতালে এসে লাশ সনাক্ত করেন।
এক আত্মীয় জানান, শহীদ আর কাদিম বন্ধু। শহীদের ডেকোরোটর ব্যবসা আছে। সেখানে কাদিমও সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। এক অনুষ্ঠানের কাজ পেয়ে তারা দুজন শনিবার শিববাড়িতে গিয়েছিলেন।