ওইদিন বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গণসঙ্গীত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়।
শনিবার সকালে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদ্বোধনীতে সৈয়দ হাসান ইমাম এবং গণসঙ্গীত শিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের অনুসারী পূরবী মুখোপাধ্যায় ও অমিতাভ মুখোপাধ্যায় বক্তব্য রাখবেন।
দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান লেখক-শিল্পী-সংগ্রামী-সংস্কৃতিকর্মীরা যোগ দেবেন। প্রথমবারের মত প্রকাশিত হবে উদীচীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের গানের অ্যালবাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন।
তিনি বলেন, “এদেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে এবং সমাজ প্রগতির লড়াইয়ে গণসঙ্গীত এক অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। মুক্তিকামী মানুষের আবেগ, উদ্বেগ, বিক্ষোভ আর সৃজনশীলতার সুতীক্ষ্ণ অস্ত্র হচ্ছে গণসঙ্গীত।
“গণসঙ্গীতের আবেদন দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে এবং নতুন ও প্রতিভাধর শিল্পীদের গণসঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে অষ্টমবারের মতো উদীচী এই প্রতিযোগিতা ও উৎসবের আয়োজন করেছে।”
প্রতিদিন বিকাল থেকে দেশের খ্যাতনামা গণসঙ্গীত দল ও একক শিল্পীদের পরিবেশনা থাকবে।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা মঙ্গলবার বিকালে হলেও শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযেগিতা শুরু হবে সকাল ১০টায়। পরদিন বুধবার বিকালে অনুষ্ঠানমঞ্চে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী প্রতিযোগীদের সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান করা হবে।
আর শেষদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে অতিথি শিল্পী পূরবী মুখোপাধ্যায় ও অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের গণসঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন থাকবে।
চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতার জন্য ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষে দেশের নয়টি বিভাগীয় পর্যায়ের (ঢাকা পূর্ব ও পশ্চিমসহ) প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। উদীচীর তিন শতাধিক শাখা সংগঠনের বাইরেও অনেক প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে, যাদের মোট সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।