রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ শনিবার ‘গণহত্যা দিবসে’ বঙ্গভবনে ২৫টি গাছ লাগিয়ে ‘শহীদ স্মৃতি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন করবেন।
জাতীয় সংসদের স্বীকৃতির পর এবারই প্রথম ২৫ মার্চ জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাঙালির মুক্তির আন্দোলন দমাতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের ওই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।
এরপর নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতি ‘চিরসবুজ’ রাখতেই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ৩০ লাখ গাছ লাগানোর কর্মসূচি নিয়েছেন তারা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল বলেন, গত ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি সংগঠনের আন্দোলনের রজতজয়ন্তীর উৎসবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
সরকার, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, ছাত্র, যুব, নারী, শ্রমিক ও কৃষকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এ কর্মসূচিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
এছাড়া স্বাধীনতা ও গণহত্যার ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ মার্চ রাত ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৪৬টি মশাল প্রজ্জ্বলন ও আলোক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সেক্টরের অধিনায়ক, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্য এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা আলোর মিছিলে অংশ নেবেন বলে জানান শাহরিয়ার কবির।
আলোক মিছিলের আগে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।