বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের একটি কক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস রাত সাড়ে ১০টার দিকে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আহমেদ জামাল নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি করে ২৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শনের পর শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, আগুনে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর চেম্বার প্রায় একেবারে পুড়ে গেছে।
“তবে চেম্বারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল না। এগুলো যেসব সেকশনে জমা থাকে সেরকম কোনো সেকশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।”
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ না করেই শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জিডিতে আগুন লাগার ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা কীভাবে আগুন লেগেছে তার উল্লেখ নেই।
ফায়ার সার্ভিসও এ আগুনের কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষ না করে বলতে পারছে না।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগুন ‘সাধারণত’ বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে লাগে। বাংলাদেশ ব্যাংকে কীভাবে লেগেছে তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
“আগুন কীভাবে লেগেছে বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত কমিটি সাধারণত সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রকাশ করে। কিন্তু আমরা তিন কার্যদিবসের মধ্যেই তা প্রকাশ করার চেষ্টা করব।”
রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।”
আগুন নেভার ঘণ্টাখানেক পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ তলার দক্ষিণপূর্ব কোণের ওই কক্ষের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুড়েছে।
“কোনো কম্পিউটার সার্ভারে আগুন লাগেনি। তবে কিছু ফাইলপত্র পুড়ে গেছে।”
আলী আহমদ বলেন, যে কক্ষ পুড়েছে সেখানে একটি ইউপিএস ছিল। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।