সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট নিয়ে চুক্তি হচ্ছে

‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে বলে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2017, 12:48 PM
Updated : 22 March 2017, 12:48 PM

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সচিব ও মুখপাত্র মো. সরওয়ার আলম বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ ও ভারত সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

বিটিআরসি কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার উপস্থিত থাকবেন।

ভারতের উদ্যোগে ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে গত সোমবার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে ভারতের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এই চুক্তির শিরোনাম হবে ‘এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্নমেন্টস অব রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ কনসার্নিং টু অরবিট ফ্রিকোয়েন্সি কো-অর্ডিনেশন অব সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট প্রোপোজড অ্যাট ফোর্টি এইট ডিগ্রি ইস্ট’।

সার্ক ও আশপাশের কয়েকটি দেশ মিলে ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ নামে এই কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে। ভারতের উদ্যোগে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য নেপাল, ভুটান, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছে।

মন্ত্রিসভা এই স্যাটেলাইট কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছে। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম এই স্যাটেলাইট বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১১৯ ডিগ্রি ইস্টে। আর অন্যটা ৪৮ ডিগ্রি ইস্টে।

ফ্রান্সের থালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ নির্মাণের অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।

এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

সব ঠিক থাকলে চলতি বছর ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ এ স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক অপারেশন শুরু করতে পারবে। তখন বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বাংলাদেশের বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে।