বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় একটি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
বনমন্ত্রী বলেন, “শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ নেই। আর কেবল জলবায়ু পরিবর্তন না, এখন সবকিছুতেই চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে। আর সন্ত্রাস, মানবসৃষ্ট যে সন্ত্রাস, তা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
“এটি শুধু আমাদের জন্য না, সারা বিশ্বের জন্যই। সন্ত্রাসের পর হল প্রাকৃতিক সমস্যাগুলোর চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ প্রথম সমস্যা হল সন্ত্রাস, এরপর জলবায়ু পরিবর্তন। এটি সন্ত্রাসের তুলনায় মাইনর সমস্যা।”
সন্ত্রাস মোকাবেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানিয়ে মঞ্জু বলেন, “নোটবুক, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অনেক কিছু আছে, সেজন্য অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে কেউ এসবের সুযোগ না নিতে পারে।”
উন্নত দেশগুলোও বর্তমানে অন্য সমস্যাগুলোর তুলনায় সন্ত্রাসাবাদ মোকাবেলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০ হাজার অতিদরিদ্র উপকূলবাসী জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়নে সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি ৬৫০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ বনায়ন করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়।
প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তনে ‘সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও নোয়াখালী- এই চার জেলায় বাস্তবায়িত হবে। পাশাপাশি পিরোজপুর জেলাকেও এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, অতিরিক্ত সচিব ইশতিয়াক আহমদ, ইউএনডিপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর কিওকো ইয়োকুসোকা।