যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ তথ্য আসার পর ওই দুজনকে শনাক্ত করতে চেষ্টা চলছে বলে র্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেনসিক উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেন।
এতে বলা হয়, “গতানুগতিক তদন্তের বাইরে গিয়ে অত্যাধুনিক তদন্ত পদ্ধতি ও বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ প্রাপ্তির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অত্যাধুনিক ল্যাবকে এ তদন্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ল্যাব থেকে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন বিস্তারিত পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।”
২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।
এই হত্যা মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পাঁচ বছরে হত্যা রহস্যের জট খোলেনি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন অপর একটি হত্যা মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
প্রথমে থানা পুলিশ এই হত্যা মামলার তদন্ত নামে, তাদের থেকে তদন্তের ভার পায় গোয়েন্দা পুলিশ। দুই মাস অনুসন্ধান চালিয়ে গোয়েন্দারা ব্যর্থ হলে তদন্তের ভার আসে র্যাবের হাতে। এলিট ফোর্স র্যাবের এই মামলা তদন্তের মেয়াদ এপ্রিলে পাঁচ বছর হচ্ছে।
অগ্রগতি প্রতিবেদনে র্যাব বলছে, সাগর-রুনির ঘর থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না এ বিষয়ে তথ্য পেতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
“এ বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। ব্যবহৃত মোবাইল ফোন অন্য কেউ ব্যবহার করছে কি না তাও অনুসন্ধানে রয়েছে।
“যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো আলামতের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার মতামতে ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে দুইজন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুইজনকে শনাক্ত করার জোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”