ডাকসু নির্বাচন করতে কেন নির্দেশ নয়: হাই কোর্ট

দুই যুগের বেশি সময় ধরে আটকে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2017, 09:14 AM
Updated : 19 March 2017, 04:37 PM

ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং গত ২৭ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ভিসি, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষসহ ছয়জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুল দুটির জবাব দিতে হবে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর আহমদ, সাবেক জিএস মুশতাক হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী জাফরুল হাসান নাদিম গত বৃহস্পতিবার এই রিট আবেদন করেন।

তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোকলেসুর রহমান।

সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৬ জুন ডাকসু নির্বাচনের পর ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে নির্বাচন হয়নি।

১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরের বছর যাত্রা শুরু করে ডাকসু। প্রথমে পরোক্ষ নির্বাচন হলেও শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে ডাকসু নির্বাচন শুরু হয় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর।

ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে ডাকসু এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা ছিলেন সামনের কাতারে।

স্বাধীন বাংলাদেশেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।  

প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভোট হয়েছে মাত্র ছয়বার। 

গত ৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “ডাকসু ইলেকশন ইজ মাস্ট, তা না হলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে।”