গ্যাসের দাম নিয়ে কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2017, 07:35 AM
Updated : 15 March 2017, 04:28 PM

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।  

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের পর জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল বাম দলগুলোর পক্ষ থেকে। সে অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় জড়ো হন।

সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা বেলা ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে পল্টন ঘুরে প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশের গলি দিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে।

তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে এবং টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যাবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স এ সময় বলেন, “এটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছিল। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।”

এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তিনি।

পুলিশের আঘাতে কতজন আহত হয়েছেন জানতে চাইলে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “এখন পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা বলতে পারব না, তবে ছাত্র ইউনিয়নের শাহরিয়ার নামের এক কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি আমরা।”

পুলিশের বাধার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাবিদ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা ব্যারিকেড ভেঙে প্রবেশ করে রাস্তার উভয় পাশে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করছিল, পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুড়ছিল। পুলিশ তখন অ্যাকশনে গেছে। আমি নিজেও হাতে আঘাত পেয়েছি।”

এদিকে সংঘর্ষ শুরুর পর বেলা ১২টার দিকে প্রেসক্লাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে বেলা পৌনে ১টার দিকে আবার যান চলাচল শুরু হয়।

প্রতিবাদে কর্মসূচি

ঘেরাও মিছিলে ‍পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিকালে সিপিবি-বাসদের এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হবে বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।

গ্যাসের দাম না কমানো হলে ১৫  এপ্রিল দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছে বাম দল দুটি।

মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর রায়টকার উঠিয়ে দিতে চেয়েছিল।

পুলিশি হামলায় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার, সুমাইয়া শারমিন সেতু, ফারজানা আখতার, তুলেশ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা মুক্তা বাড়ৈ, তৈয়ব আলী, রাতুলসহ ৫০ জন আহত হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।