‘একাত্তরের মার্চেই ঘটেছিল পৃথিবীর বৃহত্তম গণহত্যা’

একাত্তরের ২৫ মার্চে রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে পাস হলে বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে আর কোনো বিভ্রান্ত্রি থাকবে না বলে আশা করছেন একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2017, 01:46 PM
Updated : 11 March 2017, 03:09 PM

শনিবার বিকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শাহরিয়ার কবির বলেন, “একাত্তরের মার্চ মাসেই ঘটেছিল পৃথিবীর বৃহত্তম গণহত্যা। এই দিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের আন্দোলন করেছি। সংসদে বির্তকের পর তা পাস হতে যাচ্ছে। আশা করি এরপর থেকে গণহত্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ থাকবে না।”

বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান’ শীর্ষক এই স্বাধীনতা দিবস বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

বক্তৃতায় অংশ নিয়ে সামরিক মতাদর্শের পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিক সমাজের মানুষের মধ্যে গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বোধ তৈরি করাকে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান বলে মন্তব্য করেন আলোচক অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, “যতদিন যাচ্ছে তত মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান- পূর্ব পাকিস্তানের সিভিল সমাজের বোধ তৈরি করা।

“এ বোধ থেকে তিনি, তার সহযোগীরা এবং সমগ্র জনসাধারণ পাকিস্তান রাষ্ট্রকে প্রতিরোধ করেছেন। প্রতিরোধের এক দিকে ছিল রাষ্ট্র, অন্যদিকে ছিল সিভিল সমাজ। বঙ্গবন্ধু তার ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদ গড়ে তুলেছিলেন।”

অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর বড় অবদান কলোনিয়াল পূর্ব পাকিস্তানের বিপরীতে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন। দ্বিতীয়ত, জাতীয়তাবাদের আন্দোলনকে গণতন্ত্রের আন্দোলনের সমান্তরাল করে গড়ে তোলা।

“বঙ্গবন্ধু সামরিক শাসনের মতাদর্শ প্রত্যাখান করে সিভিল শাসন প্রতিষ্ঠার দিকে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক স্ট্র্যাটেজিকে ব্যবহার করেছিলেন।”

ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “গোটা মার্চ মাসই তো বঙ্গবন্ধুকেন্দ্রিক।”

এর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।

‘শেকল ভাঙ্গার পদ্য’র সমাপ্তি

মুক্তিযুদ্ধের কবিতা উৎসবে শেষদিনে বাকশিল্পাঙ্গনের পরিবেশনা

 

স্বাধীনতার মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আবৃত্তি সংগঠন বাকশিল্পাঙ্গন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের কবিতা উৎসব ‘শেকল ভাঙ্গার পদ্য’ শেষ হয়েছে।

উৎসবের দ্বিতীয় ও শেষ দিন শনিবার পরিবেশনা শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৫টায়।

এদিন শুরুতে ঢাকা স্বরকল্পনের ক্ষুদে আবৃত্তিশিল্পীরা পরিবেশন করে ‘যুদ্ধ জয়ের কাব্য’। পরেই ছিল বাকশিল্পাঙ্গনের চলতি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনা ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই’। দলীয় প্রযোজনায় অংশ নেয় শম্পা, তিথি, হাসান, তুষার, ফাহমিদারা।

এছাড়া বাকশিল্পাঙ্গনের দলীয় প্রযোজনাগুলোর মধ্যে ছিল ‘ধরিত্রী’, ‘বিশ্ব মানুষ দিবস’।

সংগঠনের সভাপতি নাসির উদ্দীন জানান, এবারের আবৃত্তি উৎসবে বাকশিল্পাঙ্গন আশ্রয় নিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামে।

উৎসবে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন রূপা চক্রবর্তী, ইকবাল হোসেন, বেলায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, জাহিদ রেজা নূর, মাসকুর- এ-সাত্তার কল্লোল, রেজীনা ওয়ালী লীনা, রাশেদ হাসান, সোহেল আনোয়ার, এমদাদ হোসেন কৈশোর, মশরুর হোসেন, মজুমদার বিপ্লব, সুপ্রভা সেবুতীসহ অন্যরা।