শনিবার অধিবেশন শুরুর পর পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতায় নিহতদের স্মরণে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের প্রস্তাব তোলেন জাসদের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।
এরপর ফ্লোর নিয়ে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “২৫ মার্চই শুধু নয়। এর পথ ধরেই এ দেশে যে গণহত্যা শুরু হয়েছিল... অনেক সংসদ সদস্য আছেন এখানে যারা যুবক, একাত্তরের সেই ভয়াল চিত্র তারা দেখেননি। এখানে আলোচনা হবে।
“মাননীয় স্পিকার আপনার অনুমতি নিয়ে আমি ওই সময়কার কিছু ছবি-ভিডিও দেখাতে চাই যেগুলো বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হয়েছিল। সেগুলো দেখাতে চাইছি।”
সচিত্র প্রতিবেদনের শুরুতে ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি দেখানো হয়। প্রতিবেদনে ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটিও দেখানো হয়।
পিনপতন নীরবতায় ১৮ মিনিট ধরে এসব চিত্র দেখেন সংসদ সদস্যরা। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কয়েকবার চোখ মুছতে দেখা যায়।
এর আগে কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব আনেন শিরীন আখতার।
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য যে কোনো সংসদ সদস্য ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব আনতে পারেন।
শিরীন আখতারের প্রস্তাবটি আলোচনার পর সংসদ গ্রহণ করলে নির্বাহী বিভাগ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।