কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শহীদুল বশর বুধবার রাতে মিরসরাই থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
কুমিল্লা চান্দিনায় পুলিশের ওপর বোমা হামলাকারী জসিম ও মাহমুদুল হাসানসহ আটজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মাহবুবুর রহমান জানান।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির মালিক রিদওয়ানুল হককে পুলিশ আটক করেছে। তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত বলে জানান মাহবুবুর।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যে মাহমুদুলকে সঙ্গে নিয়ে গভীর রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভার ‘রিদওয়ান মঞ্জিল’ নামে একটি দোতলা ভবন ঘিরে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চালানোর পর ওই বাসা থেকে ২৯টি হাতবোমা, নয়টি চাপাতি, ২৮০ প্যাকেট বিয়ারিংয়ের বল এবং ৪০টি বিস্ফোরক জেল উদ্ধারের কথা জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
অভিযানে ওই বাড়ি থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মাহমুদুল কুমিল্লায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাকিরা এ বাসা ছেড়ে আগেই পালিয়ে যায় বলে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনার ধারণা।
কাপড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়ে গত ফেব্রুয়ারির মাসে দোতলা রিদওয়ান মঞ্জিলের নিচতলা ভাড়া নেন মাহমুদুল। বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নিকে নিয়ে তিনি ওই বাসায় থাকতেন। নব্য জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা মুসারও সেখানে যাতায়াত ছিল বলে তথ্য পাওয়ার কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার দুই জনের কাছ থেকে যাদের নাম পাওয়া গেছে, সেই আটজনকেই মামলায় আসামি করা হয়েছে।