জঙ্গি আস্তানা: মিরসরাইয়ের মামলায় আসামি ৮

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব‌্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2017, 06:18 AM
Updated : 9 March 2017, 06:56 AM

কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শহীদুল বশর বুধবার রাতে মিরসরাই থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

কুমিল্লা চান্দিনায় পুলিশের ওপর বোমা হামলাকারী জসিম ও মাহমুদুল হাসানসহ আটজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মাহবুবুর রহমান জানান।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির মালিক রিদওয়ানুল হককে পুলিশ আটক করেছে। তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত বলে জানান মাহবুবুর।

কুমিল্লায় পুলিশের মুখোমুখি হামলাকারী।

কুমিল্লায় হামলার পর একজনকে ধাওয়া করে ধরা হয়

মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার চান্দিনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাস তল্লাশির সময় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে পুলিশের দিকে বোমা ছুড়ে পালানোর সময় দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

পরে তাদের দেওয়া তথ‌্যে মাহমুদুলকে সঙ্গে নিয়ে গভীর রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভার ‘রিদওয়ান মঞ্জিল’ নামে একটি দোতলা ভবন ঘিরে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চালানোর পর ওই বাসা থেকে ২৯টি হাতবোমা, নয়টি চাপাতি, ২৮০ প্যাকেট বিয়ারিংয়ের বল এবং ৪০টি বিস্ফোরক জেল উদ্ধারের কথা জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

মিরসরাইয়ের রিদওয়ান মঞ্জিলে অভিযানের সময় বাইরে ভিড়

উদ্ধার বোমার বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের এক সদস্য

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম বুধবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নব্য জেএমবির সদস্যরা ওই বাড়িতে বিস্ফোরক তৈরি করত বলে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।”

অভিযানে ওই বাড়ি থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মাহমুদুল কুমিল্লায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাকিরা এ বাসা ছেড়ে আগেই পালিয়ে যায় বলে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনার ধারণা।

কাপড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়ে গত ফেব্রুয়ারির মাসে দোতলা রিদওয়ান মঞ্জিলের নিচতলা ভাড়া নেন মাহমুদুল। বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নিকে নিয়ে তিনি ওই বাসায় থাকতেন। নব্য জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা মুসারও সেখানে যাতায়াত ছিল বলে তথ‌্য পাওয়ার কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার দুই জনের কাছ থেকে যাদের নাম পাওয়া গেছে, সেই আটজনকেই মামলায় আসামি করা হয়েছে।