সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা বুধবার আলোচিত এ মামলার আসামি বদরুল আলমের যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল এক সময় খাদিজাদের বাড়িতে লজিং মাস্টার হিসেবে থাকতেন। তখন থেকেই খাদিজাকে তিনি উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।
রায়ের পর খাদিজা তার বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, “ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সবার সহযোগিতায় পুনরুজ্জীবন লাভ করতে পেরেছি। অনেক শুকরিয়া।”
এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত’ তিনি ভালো আছেন।
“বদরুলের হামলায় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। সবার সহযোগিতায় নতুন করে জীবন গড়তে চেষ্টা করব।”
খাদিজাকে কোপানোর রোমহর্ষক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন খাদিজা। তবে শরীরের বাঁ পাশ স্বাভাবিক সাড়া না দেওয়ায় তাকে সাভারের সিআরপিতেও তিন মাস চিকিৎসা নিতে হয়।
এ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার সময় খাদিজা আদালতে বলেছিলেন, “বদরুলের নৃশংস হামলায় আমি সারা জীবনের জন্য প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।”
দণ্ডবিধির ৩২৪, ৩২৬ ও ৩০৭ ধারা অনুযায়ী আসামি বদরুলের সর্বোচ্চ সাজার রায়ই আদালত দিয়েছে।
দেশের আর কোনো নারী যেন এমন হামলার শিকার না হয়- সেই আশা প্রকাশ করেন খাদিজা।
“প্রধানমন্ত্রী, সরকার, আইনজীবী, মিডিয়ার ভাইয়েরাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ অনেক সহযোগিতা করেছেন। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”
এর আগে মামলার বাদী খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস সিলেটের আদালতে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের বলেন, “সবার সহযোগিতায় বদরুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আইনের ফাঁকে যাতে এ রায় বদল না হয় সে জন্য সবার কাছে দাবি করছি।”