আগামী ১ মার্চ থেকে ‘সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত শিক্ষা চাই, মুক্ত মানবিক দেশ চাই’ স্লোগানে এই উৎসব শুরু হবে বলে সোমবার পরিষদের পক্ষ থেকে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়।
এতে ‘বাংলাদেশ পথনাটক উৎসব ২০১৭’ শিরোনামের উৎসবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস।
তিনি বলেন, “এবারের উৎসব হবে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। আধুনিক নাট্য আঙ্গিকের সাথে লোক আঙ্গিকের সংমিশ্রণ ঘটাতে এখানে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকবে বিশেষ লোকজ পরিবেশনা।”
এবারের উৎসবে ৩০টি নাট্যদল অংশ নেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
১ মার্চ পরিবেশন করা হবে সঙযাত্রা ও ব্রতচারী নৃত্য, ২ মার্চ মণিপুরি শাস্ত্রীয় নৃত্য, ৩ মার্চ রামায়ণ পালা, ৪ মার্চ লাঠিখেলা, ৫ মার্চ মহুয়া সুন্দরী পালা, ৬ মার্চ গম্ভীরা পরিবেশনা এবং সমাপনী দিন ৭ মার্চ থাকবে আলকাপ।
২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এই নাট্যোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন শহীদ নাট্যজন সফদর হাশমির সহধর্মিণী মলয়াশ্রী হাশমি।
উদ্বোধনী দিনের শুরুতে ব্রতচারী নৃত্য পরিবেশন করবে ঢাকার ‘বাংলার ব্রতচারী সংঘ’। এরপর আরণ্যক নাট্যদল পরিবেশন করবে মান্নান হীরার রচিত ও নির্দেশিত পথনাটক ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ ও গাজীপুরের মুক্তমঞ্চ নাট্যদল পরিবেশন করবে শহিদুল হাসান শামিম রচিত ও তানভীর আহমেদ চৌধুরী নির্দেশিত ‘চোর সমগ্র’। সবশেষে টাঙ্গাইলের কালিহাতির নিপেন পাল ও তার দল পরিবেশন করবে সঙযাত্রা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, সহ- সভাপতি মিজানুর রহমান ও উৎসব আহ্বায়ক মোহাম্মদ বারী উপস্থিত ছিলেন।
পহেলা মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে পর পর ছয়টি নাটকের প্রদর্শনী হবে।