সেইসঙ্গে নির্যাতনের শিকার বিজয়ের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলাম ও বাউফল থানার ওসি আজম খান ফারুকী আদালতের নির্দেশে হাই কোর্টে হাজির হয়ে তাদের ব্যাখ্যা দাখিল করার পর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
আদালতে ওসির পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এএসপির পক্ষে অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যের্তিময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন।
থানায় নির্যাতনের ওই ঘটনা তদন্ত করে ১৯ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওইদিনই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
তবে সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলাম ও ওসি আজম খান ফারুকীকে আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক জনকণ্ঠে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘বাউফলে ওসির রুমে নির্যাতন’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, কনকদিয়া ইউনিয়নের কলতা গ্রামের শামসুল হক খানের ছেলে হাফিজুর রহমান বিজয়কে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আটকের পর থানা হাজত থেকে ওসির রুমে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
বিজয়ের মা জোসনা বেগমের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাউফল থানার এসআই ফেরদৌস ওইদিন সন্ধ্যায় বিজয়কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। রাত ১২টার পর তাকে থানা হাজত থেকে বের করে ওসির রুমে নিয়ে রাত দেড়টা পর্যন্ত নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় তাকে লাঠি দিয়েও পেটানো হয়।
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার জনকণ্ঠকে জানান, তার ছেলের বন্ধু বিজয়ের খবর নিতে পরদিন তিনি বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকীকে ফোন করেন। ওসি তাকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি থানায় ছিলেন না। পরে এসে ঘটনাটি শুনেছেন। সার্কেল এসপি ‘নাকি তাকে ২-৩টি বাড়ি দিয়েছেন’।
এরপর বিজয়ের মা ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করলে ২০ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট এএসপি ও ওসিকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে। পাশাপাশি আইজিপিকে বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।