ঢাকা মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান সোমবার তাদের এই রিমান্ড আদেশ দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন জানিয়েছেন।
যাদের রিমান্ডে যেতে হচ্ছে তারা হলেন, খাদিজাতুজ জোহরা জাকিয়া, নাছরিন আক্তার, নুশরাত শারমিন, মাসুমা আক্তার, রওশন জাহান ও ফাতেমাতুজ জোহরা।
কদমতলীর একটি বাসা থেকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজির করে সাতদিনের হেফাজত চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার এসআই মো. আজহারুল ইসলাম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারের পর স্বল্প সময়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক হেফাজত আবেদন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে দুইদিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
রোববার বিকালে কদমতলী থানাধীন তুষারধারা আবাসিক এলাকার মাহমুদা ভিলার চতুর্থ তলায় গোপন বৈঠক করছে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার ছয়জনের বাড়ি চাঁদপুর ও পটুয়াখালীতে। এদের মধ্যে তিনজন ইডেন মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রীসংস্থার হয়ে কাজ করা এই ছয়জন ওই বাড়িতে গোপন বৈঠকের জন্য মিলিত হন।