ফৌজদারী মামলার এই তিন আসামি তাদের মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকবেন।
পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে তাদের মামলার বিচার শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
মো. দানা মিয়া ২০০৬ সাল থেকে সিলেট জেলা কারাগারে, আসাদুল ওরফে আছা সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে ও সাজু মিয়া নরসিংদী জেলা কারাগারে বন্দি।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বিচার শেষ না হওয়া আট কারাবন্দির তথ্য গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের নজরে আনেন।
পরদিন শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে। আট কারাবন্দিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।
তাদের মামলার নথি তলবের পাশাপাশি ওই আটজনকে ২৭ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সে অনুযায়ী সোমবার সাতজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আটজনের মধ্যে তকদীর মিয়া বাদে সাতজনকে আজ আদালতে হাজির করা হলে আদালত তিন জনকে জামিন দিয়েছেন। তকদীর মিয়া গত ১৯ জানুয়ারি থেকে জামিনে আছেন।”
এছাড়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সাইফুল আলম নামের একজনের সাজার রায় হয়েছে। তকদীর ও সাইফুলের ব্যাপারে হাই কোর্ট কোনো আদেশ দেয়নি।
“আর সাব্বির আহমেদ নামের একজনের নথি আসেনি। এছাড়া মো. জালাল ও অসীম হালদার নামের দুজন মানসিকভাবে অসুস্থ বলে জানা গেছে।”
তাদের বিষয়ে আগামী ৬ মার্চ আদেশের জন্য দিন রেখেছে হাই কোর্ট। লিগ্যাল এইড অফিসকে জালাল ও অসীমের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে।