সিফাত হত্যার রায়ের অপেক্ষা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সাজা হবে কি না, তা জানা যাবে সোমবার।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2017, 03:56 AM
Updated : 27 Feb 2017, 04:30 AM

ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ দুপুরের দিকে এই রায় ঘোষণা করবেন।

দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ঠিক করে দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান জানান।

তিনি বলেন, সিফাতের স্বজনসহ তার বিশ্ববিদ‌্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছে।

মামলার চার আসামির মধ‌্যে সিফাতের স্বামী মোহাম্মদ আসিফ প্রিসলি আছেন কারাগারে।

আর আসিফের বাবা অ্যাডভোকেট হোসেন মোহাম্মদ রমজান, মা নাজমুন নাহার নজলী এবং প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান জামিনে রয়েছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্দশ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন সিফাত। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। ওই তরুণীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সিফাত ‘আত্মহত্যা করেছেন’ বলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথমে দাবি করলেও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পান চিকিৎসক। 

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করা দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিফাতের মৃত্যু হয়েছে আঘাতজনিত কারণে।

প্রথমে মামলাটির তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে থাকলেও পরে সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী সুপার আহমেদ আলী গতবছর ২৩ মার্চ চারজনকে আসামি করে রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সেখানে বলা হয়, আঘাতজনিত কারণে সিফাতের মৃত্যু হলেও তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি বিষয়টি ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা করেন। এছাড়া প্রথম ময়নাতদন্তের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান ‘আঘাতজনিত কারণে মৃত্যুর’ বিষয়টি গোপন করে আত্মহত্যার ‘মিথ্যা প্রতিবেদন’ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এ মামলায় যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। বাদীপক্ষের আবেদনে গত ১২ জুলাই রাজশাহী থেকে মামলাটি স্থানান্তর করা হয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।

বিশেষ কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান জানান, আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৩২ জনের মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।