বাবুল আক্তারের শ‌্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ

বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত‌্যাকাণ্ডের তদন্ত কর্মকর্তা এবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সাবেক এই পুলিশ সুপারের শ‌্যালিকাকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকও চট্টগ্রাম ব‌্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 01:53 PM
Updated : 26 Feb 2017, 01:53 PM

নিহত মাহমুদা আক্তার মিতুর ছোট বোন শায়লা মোশাররফকে ঢাকার বনশ্রীতে তার বাসায় এসে রোববার জিজ্ঞাসাবাদ করে যান তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান।

এর আগে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন এবং মা শাহেদা মোশাররফ তদন্ত কর্মকর্তার আহ্বানে দুই মাস আগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে কথা বলে এসেছিলেন।

সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ (রোববার) সকালে তদন্ত কর্মকর্তা বাসায় এসেছিলেন।

“তারা আগে আমার স্ত্রী ও আমার সঙ্গে চট্টগ্রামে কথা বলেছেন। এবার ঢাকায় এসে শায়লার সঙ্গে কথা বলেছেন।”

হত‌্যামামলার বাদী বাবুল গত ১৫ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে যান। তবে এই ঘটনার তদন্তে তার ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন তার সাবেক সহকর্মীরা।

স্ত্রী হত‌্যাকাণ্ডের পর নানা নাটকীয় ঘটনার মধ‌্যে পুলিশের চাকরি ছেড়ে এখন ঢাকায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগও তার আগের মতো নেই।

এর মধ্যে ঝিনাইদহের এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রীর সঙ্গে বাবুলের সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। নিহত এসআই আকরাম হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, বাবুলের পরিকল্পনায় ২০১৫ সালে তাকে হত‌্যার পর ঘটনাটি সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে সাজানো হয়েছিল।

নিহত মাহমুদা আক্তার মিতু

বাবুলের স্ত্রী মিতু নিহত হন গত বছরের ৫ জুন। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় যে মুসার নাম উঠে আসে, তিনি এক সময় চট্টগ্রাম ডিবিতে কর্মরত বাবুলের সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

বাবুলের শ‌্যালিকাকে কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান কিছু জানাননি।

বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ বলেন, “বাবুল আক্তারের পরকীয়া, মিতুর সঙ্গে ঝগড়া, মিতুর আত্মহত্যার চেষ্টা করা, ঢাকায় বাবা মায়ের কাছে চলে আসতে চেয়েও না পারার কথাগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিশদভাবে জানানো হয়েছে।”

মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে। দুজন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতও হয়েছেন।

গ্রেপ্তারের মধ্যে মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন নামে দুজন নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গত ২৬ জুন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসার নাম বলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।