বিশ্বজিৎ হত্যার আপিল হাই কোর্টের কার্যতালিকায়

পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথরেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 07:26 AM
Updated : 26 Feb 2017, 07:26 AM

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য রোববারের কার্যতালিকায় ২০ নম্বরে রয়েছে।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথরেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

হাই কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।”

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনার খবর ও ছবি সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের কর্মী হওয়ায় সরকারকে বিরোধীদলের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

পরের বছর ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন তিনি।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বেআইনি সমাবেশের আরেকটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ১৩ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া আট আসামি: রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা, রাজন তালুকদার ও মীর নূরে আলম লিমন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেরর ১৩ আসামি: গোলাম মোস্তফা, এ এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন।

আসামিদের মধ‌্যে মৃত‌্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া রাজন ও লিমন এবং যাবজ্জীবনের আসামি ইউনুস, তমাল, আলাউদ্দিন, তাহসিন, ইমরান, আজিজ, আল-আমিন, রফিকুল, পাভেল, কামরুল ও মোশাররফ রায়ের সময় পলাতক ছিলেন।

ওই রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাই কোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিদের পক্ষ থেকেও আপিল আবেদন জমা পড়ে।