শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আয়োজিত ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনী ও বিভাগীয় ব্র্যান্ডিং মেলা ২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে একথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উপর মোবাইল ও ইন্টারনেটের ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে অভিভাবকদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিশুরা ‘ইনটেলিজেন্ট’ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
তরুণদের দেশের চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করে বিপু বলেন, “তারা টিভি দেখে না, পত্রিকা পড়ে না। বাবা-মা হয়তো চিন্তা করে আমার ছেলে তো টিভি দেখে না, ভাল অনুষ্ঠান দেখে না, খবর দেখে না, বই পড়ে না, বড় হয়ে করবেটা কী?
“কিন্তু তারা বিশ্বকে মাথার মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। কীভাবে নিয়েছে?, ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তারা কিন্তু অনেক বেশি জানে আমাদের কাছ থেকে, তারা কিন্তু ওই জায়গায় ইনটেলিজেন্ট।”
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মোবাইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরও বেশি ‘কানেক্টেড’ থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
“যদি কারো কাছে মোবাইল না থাকে কী হবে? তোমরা কথা বলতে পারবে না, বন্ধুর সাথে আলাপ করতে পারবে না, ইমেইল পাঠাতে পারবে না, বিকাশ করতে পারবে না। মনে হবে যেন, হটাৎ করে জগতটা থেমে গেল।”
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলার মোট ৪৯টি স্টল ও প্যাভিলিয়নে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক সেবা প্রদান ও এ সংক্রান্ত উদ্ভাবন প্রদর্শিত হচ্ছে।
ই-পর্চা, রেলওয়ের টিকেট, বিআরটিসি লাইসেন্স, পোস্টাল বিভাগের সেবা, পাসপোর্টসহ কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত স্থানীয় পর্যায়ের সব ই-সেবার তথ্য দেওয়া হচ্ছে।