এখন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা নেই: নূর

বর্তমানে পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য তোড়জোড় থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা নেই বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2017, 11:52 AM
Updated : 25 Feb 2017, 11:52 AM

শনিবার রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “র্বতমানে দেশে শিক্ষার্থীদের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী। সবাই শুধু পাঠ্যবই পড়ে, পরীক্ষা দেয় আর জিপিএ পাঁচ পায়।

“তাদের মধ্যে কোনো শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা নেই। কিন্তু শিল্প-সংস্কৃতি ছাড়া মানবিক, সংবেদনশীল মানুষ গড়ে উঠবে না।”

শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এক সময়ের সংস্কৃতিকর্মী নূর।

বাঙালিদের মাঝে ভাষার মাস হিসেবে পরিচিত ফেব্রুয়ারির শেষভাগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ভাষার ভালোভাবে ব্যবহার হচ্ছে না অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

“ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষার মাস। কিন্তু প্রাত্যহিক জীবনে আমরা বাংলার ব্যবহার ভালোভাবে করছি না। বিদেশি ভাষা আমরা শিখব, কিন্তু সবার আগে নিজের ভাষা। আর তা যদি না হয়, তাহলে আমরা র্অধশিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠব। আর এ ধরনের মানুষ দেশ ও জাতির জন্য তেমন শুভকর নয়।”

অমর একুশে বইমেলায় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে নূর বলেন, “সবাই যে সেখানে বই কিনতে যাচ্ছে তা নয়, অনেকেইে যাচ্ছে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। আমরা পহেলা বৈশাখে অত্যন্ত আবেগের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রা করি, বসন্ত উৎসব, বর্ষা উৎসব, পৌষ উৎসবসহ বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করি। আমরা আবেগের, ভালোলাগার ও ভালোবাসার জায়গা থেকে এসব করে থাকি।

“কিন্তু আমি হতাশ হই, যখন দেখি উদযাপন শেষে যখন আমরা ঘরে ফিরি, তখন অনেক কিছুই মনে রাখি না। আমাদের উদযাপনের আবেগের সাথে প্রাত্যহিক জীবনাচরণ তেমন মেলে না। আমরা যদি অন্তরে তা ধারণ করি, বাস্তবেও তার প্রতিফলন ঘটাতে হব।  তাহলেই আমরা কায়মনে বাঙালি হতে পারব, জাতি হিসেবে হতে পারব আরও বেশি সমৃদ্ধশালী।”

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কলেজের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেওয়া কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গায়ত্রী চ্যার্টাজির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অভিনেত্রী ফেরেদৌসী মজুমদার, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামসুন্নাহার, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক তাহমিনা ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক সাবিহা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।