২০০৯ সালে ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বাহিনীতে বিদ্রোহের সময় পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। রক্তাক্ত ও্ই বিদ্রোহের পর বাহিনীর নাম বদলে বিজিবি হয়।
শনিবার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহতদের কবরে স্বজনরা ছাড়াও রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সামরিক কবরস্থানে যারে দাফন করা হয়েছে তাদেরসহ নিহত সকলের প্রতি রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন ফুল দেন।
প্রায় একই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক, নৌপ্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনরাও কবরে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়ার ভাই জাফরুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “যারা চলে গেছেন, তারা তো আর কোনোদিনও ফিরবেন না। কিন্তু তার স্বজনরা বিচার তো দেখে যেতে পারবেন। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি দরকার।”
নিহত মেজর মিজানুর রহমানের কবরে মোনাজাত করেন তার দুই ছেলে ১৭ বছর বয়সের তাহসীন রহমান এবং তার ছোট ভাই ১১ বছর বয়সের ফারদিন রহমান।
বিচারে শাস্তি হলেও নিহত স্বজনদের অনেকেই হত্যার নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন।
পিলখানাসহ বিজিবির সব রিজিয়ন, সেক্টর, ও ইউনিটে শনিবার খতমে কোরআন, মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
রোববার বাদ আছর পিলখানায় বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে দোয়া মাহফিল ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।