শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে কানাডা-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শাহরিয়ার বলেন, “তাকে (নূর চৌধুরী) ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। এর মাধ্যমে দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসান হবে।”
কানাডা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া নূরকে বহিষ্কার করে বাংলাদেশে পাঠালে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ‘যুগান্তকারী সাফল্য’ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর এই আত্মস্বীকৃত খুনি অনেক দিন ধরেই কানাডায় পালিয়ে আছেন। বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার তাকে ফেরত চাইলেও, আইনের দোহাই দিয়ে কানাডা তা করতে রাজি হচ্ছে না।
দেশটির আইন অনুযায়ী, আশ্রিত যে অভিবাসী নিজ দেশে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারে তাকে ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই।
যদিও গত বছর কানাডা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, কানাডা নূর চৌধুরীর প্রত্যাবসনের বিষয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম পশ্চিমা দেশ কানাডার সঙ্গে ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তখনকার কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে এলিওট ট্রুডো বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
২০১৬-র ওই সফর বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্কে ‘নতুন উদ্যম’ সৃষ্টি করেছে বলেও শনিবারের আলোচনায় মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
গত বছর কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যার বেশিরভাগই হয়েছে দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্ক-মুক্ত রপ্তানির মাধ্যমে।
আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া পিয়েরে ল্যারামিস, সাবেক দূত ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক রবার্ট ম্যাকডুগালও উপস্থিত ছিলেন।