নাজমুল নামের ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ছিলেন এমটি অ্যাংকর এস নামের ওই ট্যাংকারের গ্রিজার। শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নাজমুলের শরীর ৮৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
হুমায়ুন কবির নামের ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ছিলেন এমটি অ্যাংকর এস নামের ওই ট্যাংকারের গ্রিজার। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল জানান।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই দুর্ঘটনায় দগ্ধ চারজনের মধ্যে এ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হল। গত বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গ্রিজার হুমায়ুন কবির (৩৪)। তার শরীরের ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছিল।
চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে ৯ লাখ লিটার ডিজেল ও পেট্রোল নিয়ে বরিশালে যমুনা অয়েলের ডিপোতে যাচ্ছিল এমটি অ্যাংকর এস নামের ট্যাংকারটি। সেই রাতে বরিশালের চাঁনমারী খেয়াঘাটে ইঞ্জিনরুমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর জাহাজে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলায় আরও বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গেলেও চারজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠিয়ে একজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন শহীদুলের শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল জানান।