এই চলচ্চিত্রটিতে কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ভুল বার্তা দেওয়া হবে বলে তাদের আশঙ্কা।
ফারুকী নির্মিত ‘ডুব’ সেন্সরবোর্ডে জমা পড়ার আগেই হুমায়ূনপত্নী মেহের আফরোজ শাওনের এক চিঠির পর তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তা আটকে গেছে।
ফারুকীর দাবি, তার চলচ্চিত্রটি মৌলিক গল্পের ভিত্তিতে নির্মিত, হুমায়ূনের জীবন অবলম্বেনে নয়। তবে শাওন বলছেন, ঘোষণা না থাকলেও এটি যে হুমায়ূনের জীবনেরই একটি অধ্যায় নিয়ে, তা স্পষ্ট।
মূলত চলচ্চিত্রটিতে ভারতীয় অভিনেতা ইরফান খানের প্রথম স্ত্রীর ভূমিকার রূপায়নকারী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করেই সবাই আপত্তি জানাচ্ছেন।
যে হুমায়ূন আহমেদকে ভিত্তি করে শক্ত আর্থিক ভিতের উপর দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের প্রকাশকরা, তারাও তার ভিত্তিতেই আপত্তি তুলেছে।
বৃহস্পতিবার জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান শায়ক স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচীর সাক্ষাৎকার থেকে তারা এ বিষয়ে জানতে পেরে উদ্বিগ্ন তারা।
“তার সাক্ষাৎকার থেকে চলচ্চিত্রটির যে কাহিনি সংক্ষেপ পাওয়া যায়, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠে যে এই চলচ্চিত্রে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের এমন কিছু প্রসঙ্গ রয়েছে, যেগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।”
“চলচ্চিত্রটি দেশবিদেশে ছড়িয়ে থাকা হুমায়ূন আহমেদের লক্ষ কোটি পাঠক, ভক্ত, অনুরাগীকে ভুলবার্তা দেবে, তাদের আহত করবে।”
চলচ্চিত্রটি থেকে ‘বিতর্কিত, আপত্তিকর ও অবাঞ্ছিত’ অংশগুলো বাদ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে প্রকাশকরা।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, “হুমায়ূন আহমেদের মতো কিংবদন্তির জীবনভিত্তিক ছবি নির্মাণ করতে হলে আমরা মনে করি, অবশ্যই তার পরিবারের সম্মতিতে হওয়া উচিৎ।”