দাবি পূরণ না হলে সারা দেশে মাংস বিক্রি বন্ধের হুমকি

ঢাকায় ছয়দিনের ধর্মঘটে দাবি আদায় না হলে এই কর্মসূচি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মাংস বিক্রেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2017, 01:49 PM
Updated : 15 Feb 2017, 01:51 PM

ধর্মঘটের তৃতীয় দিন বুধবার রাজধানীর কাপ্তানবাজারে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম এই হুমকি দেন।

তাদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন কোনো সাড়া দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো পক্ষই এগিয়ে আসছে না। এ অবস্থায় আমরা আগামী শনিবার পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাব।

“এরপরও দাবি আদায় না হলে সারাদেশে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেব।”

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু লিখিত বক্তব্যে বলেন, “ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে গরুর খাজনা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে রাজধানীর মানুষ কম দামে মাংস খেতে পারে।

“কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ অমান্য করে গাবতলী হাটের ইজারাদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। আর এতে সিটি করপোরেশনের কিছু কর্মকর্তা সহায়তা করছে।”

‘অতিরিক্ত’ খাজনা আদায়ের কারণে পশুর দাম বেশি পড়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “একটি গরু বর্ডার থেকে আনার সময় পথে কয়েক জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া চামড়ার দাম আগের চেয়ে কমে যাওয়ায় সেখানেও লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

“ফলে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে পোষাচ্ছে না। আবার বেশি দামে মাংস বিক্রিও করা যাচ্ছে না।”

এ অবস্থায় দোকানপাট বন্ধ না করে ব্যবসায়ীদের কোনো উপায় ছিল না বলে মন্তব্য করেন গোলাম মর্তুজা।

তিনি বলেন, মাংস ব্যবসায়ীদের এই ধর্মঘট দাম বাড়ানোর জন্য নয়, চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে।

চাঁদাবাজি বন্ধ, সিটি করপোরেশন নির্ধারিত খাজনা আদায় এবং চামড়ার দাম বাড়লে মাংস বর্তমান দামেই বিক্রি সম্ভব বলে জানান তিনি।

গাবতলী গরুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে অপসারণসহ চার দফা দাবিতে সোমবার থেকে ধর্মঘটে আছে মাংস বিক্রেতারা।

ধর্মঘটের তৃতীয় দিন বুধবারও ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারের মাংসের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।