আইপিইউর প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী সোমবার দুই দিনের এ্ই শুনানির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, সমুদ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অনুধাবন, অনুশীলন ও সম্মিলিতভাবে সমাধান করতে যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, তা করতে এখনও অনেকে সজাগ হননি।
সমুদ্রের সুরক্ষা ও মানবতার কল্যাণে বিশ্ববাসীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সাবের চৌধুরী সমুদ্রের দূষণ, মানুষ ও পরিবেশের সঙ্গে সমুদ্রের আন্তঃসম্পর্ক, সমুদ্র সম্পদ ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আইপিইউর প্রেসিডেন্ট বলেন, “সবাই সতর্ক না হলে বাংলাদেশের মতো নিম্ন অববাহিকার দেশগুলো ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে এসব অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।”
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যেকটি দেশকে পরিবেশ দূষণ রোধে বিস্তৃত পরিকল্পনা করে তার বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংসদরা সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় করতে পারছেন।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল য়ু হংবোও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
৫৫টি দেশের ১৭৯ জন সংসদ সদস্য, ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ১৯টি এনজিওর প্রতিনিধিরা আইপিইউর বার্ষিক এ শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সারোয়ার কামাল এবং কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।