সংসদ, সরকার, বিচারালয়, বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনেও নারীর উপস্থিতির প্রত্যাশা কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের যে সার্চ কমিটি করেছেন ওই কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতিতে অন্তত একজন নারীসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে।
যাতে স্পষ্ট হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনাকারী সাংবিধানিক এই সংস্থাটিতে একজন নারীকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।
শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকার হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কর্তৃত্বের তিনটি পদই নারীদের হাতে।
সংসদ নেতার দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। সংসদ উপনেতাও একজন নারী, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
সংসদের বাইরে থাকা বড় দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার টানা দুই দফার সরকারে গত সাত বছরে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন নারীরা।
২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রথম নারী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান নাজমুন আরা সুলতানা।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব পদেও নারীরা রয়েছেন।
প্রায় তিন বছর আগে ফারজানা ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ায় প্রশাসনের শীর্ষ পদে নারীকে পায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
নির্বাচন কমিশনে এ পর্যন্ত ১১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ২৩ জন নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব পালন করলেও তাদের মধ্যে কোনো নারী ছিলেন না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বুধবার সন্ধ্যায় নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে গঠিত সার্চ কমিটির আদেশ জারি করে।
এতে বলা হয়, “অনুসন্ধান কমিটি ন্যূনপক্ষে একজন নারীসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে সভার উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুইজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করিবে।”