বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার রুলসহ এ নির্দেশনা দেয়।
সংস্কৃতি সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, ঝিনাইদহের মহেশপুরের গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও মহেশপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভবনটি কী অবস্থায় আছে এবং ভবন সংস্কারে কী কী প্রয়োজন- এসব বিষয় তদন্ত করে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দিতেও বলেছে আদালত।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব এবং ঝিনাইদহের গৃহায়ন ও গণপূর্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে তদন্ত করে এ প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ‘ওয়ার হিরো মেমোরিয়াল অন ভারজ অব কলাপস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থা তুলে ধরা হয়।
সেই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ভবনটির সংস্কার ও সংরক্ষণ চেয়ে গত ২২ জানুয়য়ারি হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন ‘সমাজের প্রতি যুব উদ্যোগ’র সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ।
সোমবার আবেদনটির শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেয়।
পরে আইনজীবী আলতাফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটমকে বলেন, “জাতির জন্য, জাতির স্বাধীনতার জন্য তারা আত্মদান করেছেন। যদি তাদের স্মৃতি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধাদের ভুলে যাবে।”
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানার জন্যও ঐতিহাসিক স্থান-স্থাপনা বা স্মৃতি সংরক্ষণ-সংস্কার করা প্রয়োজন।”
রিট আবেদনকারী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধে তার আত্মদানের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য তিন শতাংশ জমির ওপর ১৯৮১ সালে এ ভবনটি গড়ে তোলা হয়। কিন্তু অযত্ন-অবহেলা, সংস্কারের অভাবে এর সবকিছুই বিনষ্ট হতে যাচ্ছে। বিনষ্ট হওয়া থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্মৃতি রক্ষার সার্থেই এ রিট আবেদন।”