গুলশানে বিজেএমসির জমিতে হচ্ছে খেলার মাঠ

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) গুলশানের ১০ দশমিক ৩৩ বিঘা জমি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে; যাতে আধুনিক খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম নির্মাণ করা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2017, 11:45 AM
Updated : 23 Jan 2017, 11:45 AM

সোমবার সচিবালয়ে বিজেএমসির চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে যুব ও ক্রীড়া সচিব কাজী আকতার উদ্দিন আহমেদের হাতে এই জমির দলিল হস্তান্তর করেন।

এর আগে গুলশানের সাব-রেজিস্ট্রার কামাল হোসেন খান এবং বিজেএমসির চেয়ারম্যান ওই জমির দলিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ করেন।

বিজেএমসির অধীনে থাকা গুলশানের ১০ দশমিক ৩৩ বিঘা জমিতে আধুনিক খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম নির্মাণে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই নির্দেশনার পর এক হাজার এক টাকা প্রতিকী মূল্যে ওই জমির দলিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এই জমির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে এক হাজার ৮৫ কোটি টাকা দেবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া এই অর্থ দিয়ে বিজেএমসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে বলে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানিয়েছেন।

দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পাট এবং বিজেএমসি বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিজেএমসির লোকসানের কারণ উদঘাটন করা হয়েছে, সংস্থাটিকে আমরা লাভে আনার চেষ্টা করছি।”

গুলশানের জমি বিক্রি না করলেও সরকার বিজেএমসির লোকসানের অর্থ দিত জানিয়ে আজম বলেন, “আমরা বিজেএমসির লোকসান কমানোর চেষ্টা করে আসছি।”

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু বলেন, বিজেএমসির তারল্য সঙ্কট আছে, এটা মোকাবেলায় গুলশানের জমিটি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দিতে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এক হাজার এক টাকা প্রতিকী মূল্যে বিজেএমসির ১০ দশমিক ৩৩ বিঘা জমি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, অর্থ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিজেএমসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।