ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদারতের বিচারক মো. জাহিদুল কবির রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের আসামিরা হলেন- ওই এলাকার মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আসগর আলী, সেলিম, আলকাস, রাজু ও খলিল।
আর যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে কদর আলী ও রুহুল আমিন লেদুর। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজার আদেশ হয়েছে রায়ে।
দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে কেবল আসগর রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি পাঁচজন পলাতক।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক ছয়জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বলে এ আদালতের পেশকার ইফতেখার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
২০১২ সালের ১৪ মে সন্ধ্যায় শাহ আলী এলাকার গড়ান চটবাড়ীতে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির একতলার ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পরে গুলি করে হত্যা করা হয় বাসু মিয়াকে।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই চিনু মিয়া শাহআলী থানায় মামলা করেন। পরে ২৯ মে খলিল, রাজু, লেদুসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রায়ে আসগরকে এ মামলার প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তারা বাসুকে হত্যা করে।
এ আদালতের পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, “বাদীপক্ষের সঙ্গে দণ্ডিতদের মাছ ব্যবসা নিয়েও দন্দ্ব ছিল। কিন্তু বিষয়টি মামলার বিচারে উঠে আসেনি।”
এ মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে ১৯ জনের সাক্ষ্য শুনেছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তিনি।
মামলার বাদী চিনু মিয়া এই রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।