রোববার থেকে আগারগাঁওয়ে ইসির নিজস্ব কার্যালয় ‘নির্বাচন ভবনে’ অফিস করবেন বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
বিদায়ের আগে মাত্র দুই সপ্তাহ নতুন ভবনে অফিস করার সুযোগ পাবেন বিদায়ী কমিশনের সদস্যরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসি সচিবালয়ের কর্মকতারা বৃহস্পতিবার শেরেবাংলানগরে পুরনো কার্যালয়ে শেষ অফিস করেন।
পুরনো ভবনের শেষ কর্মদিবসে নিজেদের কাগজ-পত্র গোছানোর কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাঁটিয়েছেন কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। দীর্ঘ দিনের স্মৃতি জড়ানো পুরনো অফিসে নিজেদের শেষ ছবি তুলে রাখতেও দেখা গেছে অনেককে।
পুরনো অফিস ছেড়ে যাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে একজন কর্মকর্তা ফেইসবুকে লিখেছেন, “স্মৃতিবিজড়িত এ অফিস ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার শেষ অফিস করলাম। রাজনীতিবিদসহ অনেক সাংবাদিকেরও স্মৃতি বিজড়িত এ ক্যাম্পাস। দীর্ঘ ৪৩ বছর পর আগামীকাল নির্বাচন কমিশনের অফিস তার নতুন ঠিকানায় যাবে। হারিয়ে যাবে ইতিহাসের সাক্ষী সেই সিঁড়ি, যে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনাররা।”
এরপর নির্বাচন কমিশন প্রথমে সচিবালয়ে এবং পরে ১৯৭৩ সালে পরিকল্পনা কমিশনের লাগোয়া ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকে স্থানান্তরিত হয়। এক পর্যায়ে জেলা নির্বাচন, থানা নির্বাচন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত উইংয়ের কাজ শুরু হয় ভাড়া বাড়িতে।
২০০৭ সালে পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ২ একর ৩৬ শতাংশ জমি নির্বাচন কমিশনকে বরাদ্দ দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ণ মন্ত্রণালয়। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ১১ তলা ‘নির্বাচন ভবন’ উদ্বোধন করেন।
নতুন ইসি গঠন নিয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি। সেক্ষেত্রে নতুন ইসির যাত্রা শুরু হবে নতুন ঠিকানায়।