আইনে পরিবর্তন এনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতেও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৫৭টি মুসলিম দেশের এই জোট।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক শেষে গৃহীত প্রস্তাবে এ আহ্বান জানানো হয়।
রাখাইন স্টেটে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের প্রেক্ষাপটে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছিল।
বৈঠকে যোগ দিয়ে মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি রাখাইন সংকটের স্থায়ী সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ৩৩ হাজারের মতো নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে। এর বাইরেও প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করে আসছে বলে ধারণা করা হয়।
গত অক্টোবরে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে সরকার বলছে।
চলতি মাসেই মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির বিশেষ দূত হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উ চ থিন ঢাকা সফরে এলে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে একটি কর্মসূচির প্রস্তাব দেয় ঢাকা।
এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের অব্যাহত দুর্ভোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
বৈঠক উদ্বোধনী বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা ও মৌলিক অধিকার থেকে তাদের বঞ্চনা শেষ হওয়ার দাবি করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের নৃশংসতার শিকার হওয়া, ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লংঘন এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সহিংসতার মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
মিয়ানমারের সঙ্গে মানবাধিকার কাউন্সিলসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন হামিদ আলবার।