বিদেশি কূটনীতিক হিসেবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি শুল্ক কর পরিশোধ ছাড়া হস্তান্তরিত হয়েছে দাবি করে গত রোববার ঢাকার বারিধারার একটি বাড়ি থেকে রেঞ্জ রোভার জিপটি জব্দ করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা পরিদপ্তর।
মাহমুদ ইজ্জত ঢাকায় ফিরে বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাড়ি জব্দের খবর শুনে তিনি ছুটে এসেছেন।
ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় ২০১৬ সালে এই গাড়িটি এনেছিলেন মাহমুদ ইজ্জত।
গত বছরের জুনে তিনি যাওয়ার সময় এটি শুল্ককর পরিশোধ ছাড়াই অবৈধভাবে হস্তান্তর করেছিলেন বলে জব্দের পর জানিয়েছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান।
শুল্ক-করসহ প্রায় ছয় কোটি টাকা দামের গাড়িটি ইন্ট্রাকো গ্রুপ ও হোটেল আগ্রাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুদা আলী সেলিমের বাড়ি থেকে জব্দ করেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
মাহমুদ ইজ্জত বলেন, তড়িঘড়ি করে যাওয়ার কারণে তিনি গাড়িটি নিয়ে যেতে পারেননি।
“এটি আমি আমার এক বন্ধুর কাছে রেখে গিয়েছিলাম। তার স্ত্রী আমার কাজিন।”
যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে গাড়িটি মিশরে ফেরত নেবেন বলে জানান এই কূটনীতিক।
কূটনীতিকরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি এনে ব্যবহার করে বাংলাদেশ ছাড়ার সময় সেই গাড়ি কী করতে হয়- জানতে চাইলে মইনুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আইন হচ্ছে, কোনো কূটনীতিক শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করে ব্যবহারের পর দেশ ত্যাগের সময় অবশ্যই সেই গাড়ির বিষয়ে কাস্টমসকে অবহিত করতে হবে।
“যদি তিনি সেই গাড়ি বিক্রি করতে চান তাহলে যে শুল্ক সুবিধা পেয়েছিলেন, সেটা পরিশোধ করে তারপর বিক্রি করতে হবে।”
শুল্কমুক্ত কোটায় এনে হস্তান্তরিত বিভিন্ন গাড়ি ধরতে অভিযানে রয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। সম্প্রতি ঢাকায় ইউএনডিপির সাবেক আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন প্রিজনারের একটি গাড়িও আটক করেন তারা।