অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
সামাজিক আন্দোলন ও সাহিত্য চর্চায় অনন্য অবদানের জন্য তাকে সম্মাননার সঙ্গে ৪০ লাখ টাকার চেকও দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অসীম সাহা এবং ওয়াসি আহমেদের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান।
‘ম-বর্ণের শোভিত মুকুট’ নামে বইয়ের জন্য অসীম সাহা এবং ‘তলকুঠুরির গান’ বইয়ের জন্য ওয়াসি আহমেদকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সাল থেকে আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম বছর ‘জলেশ্বরীর দিনপত্রী’র জন্য সৈয়দ শামসুল হক এং ‘অনন্য জীবনানন্দ’র বইয়ের জন্য ফারুক মঈনউদ্দীনকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “এখানে দুই অনুষ্ঠান হওয়া উচিত ছিল। আর্থিক মূল্যে সবচেয়ে বড় সাহিত্য পুরস্কারের একটা অনুষ্ঠান আর মানুষ গড়ার কারিগর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে নিয়ে অন্য অনুষ্ঠান।”
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সূত্র ধরেই ৩৯ বছর আগে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার স্মৃতিচারণ করেন অর্থমন্ত্রী।
পুরস্কারের প্রতিক্রিয়ায় আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ জানান, তিনি যখন বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখন এর আর্থিক মূল্য ছিল ৪০ হাজার টাকা।
পুরস্কারের প্রতিক্রিয়া ওয়াসি আহমেদ বলেন, “লেখালেখি একটি নিভৃত কর্মকাণ্ড। লেখককে লিখতে হয়, না লিখে তার উপায় নেই। এটা পুরস্কারমুখী নয়। প্রথমত লেখক নিজের জন্য লেখেন। দ্বিতীয়ত আমি যা লিখি, সেটা যদি কিছু মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত করতে পারি। এটাই স্বার্থকতা।”
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।