প্রধানমন্ত্রী হকারদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দিলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা না করে উচ্ছেদ করছে বলে অভিযোগ তাদের।
উচ্ছেদ অব্যাহত থাকলে দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে মামলার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
মতিঝিল, গুলিস্তান ও পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যে বৃহস্পতিবার তোপখানা রোডের শহীদ আসাদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন হকার সমন্বয় পরিষদের নেতারা।
১৬টি সংগঠনের সমন্বয়ে হকার সমন্বয় পরিষদ গঠিত হওয়ার কথা জানিয়ে এর সমন্বয়ক আবুল হোসাইন বলেন, “হকারদের পুনর্বাসনের নামে নির্বাসন মেনে নেওয়া হবে না।”
হকারদের সব সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ঢাকার সব সংসদ সদস্যের আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টি সুরাহার দাবি জানান তিনি।
‘অমানবিকভাবে’ হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানিয়ে আবুল হোসাইন বলেন, “বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় হকারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এভাবে অমানবিক উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে হবে আগে।
“হকার উচ্ছেদ কোনো সমাধান নয়, তাদের পুনর্বাসন করতে হবে।”
হকার নেতা আবুলের দাবি, গতবছর ১৯ এপ্রিল একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার বাইরে গিয়ে সিটি করপোরেশন বলপ্রয়োগের মাধ্যমে হকারদের উচ্ছেদ করছে।
“প্রধানমন্ত্রী সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘হলিডে মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং বহুতল ভবন নির্মাণ করে’ ফুটপাতের হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ অমান্য করে সিটি কর্পোরেশন বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অনেকটা তুঘলকি কায়দায় হকারদের ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ করছে।”
আগামী ২২ জানুয়ারি সকাল ৯টায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আসার কথা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই হকার সমন্বয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘উষ্ণ অভিবাদন’ জানানো হবে।
এছাড়া ২৪ জানুয়ারি বেলা ১১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে স্মারকলিপি প্রদান, ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ এবং ২৮ জানুয়ারি সকালে শহীদ আসাদ মিলনায়তনে হকারদের প্রতিনিধি সভার ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সব হকার সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঢাকায় হকার মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক।