নিহত ফজল মিয়া (৫০) বাড্ডার আদর্শনগরে পাশাপাশি দুটি টিনশেড বাসায় দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তার প্রথম স্ত্রী চন্দ্রা (৪০) থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন বলে বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল জানান।
“চন্দ্রা বলেছেন, গতকাল রাতে তারা ফজলের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় ছিলেন। রাতভর ঝগড়া শেষে ভোরে ফজল মিয়া ঘুমিয়ে পড়লে তিনি রান্নাঘর থেকে পাটা এনে ফজল মিয়ার মাথায় আঘাত করে। পরে ফজলের পুরুষাঙ্গ কেটে পলিথিনে মুড়িয়ে থানায় চলে আসেন।”
খবর পেয়ে পুলিশ আদর্শনগরের ওই বাসা থেকে রক্তাক্ত ফজল মিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চন্দ্রা ও ফজলের তিনটি সন্তান রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, স্বামীকে খুন করার অভিযোগে চন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ফজল আরও একটি বিয়ে করেছিলেন; তার তৃতীয় স্ত্রী ভারতে থাকেন।