বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নির্মাণ শ্রমিকদের দাবি দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে ইনসাবের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, নির্মাণ শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ঝুকিপূর্ণ কাজ করে প্রতিনিয়তই কর্মস্থলে নিহত ও আহত হচ্ছে।
“নির্মাণ শ্রমিকদের কর্মস্তলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এলাকা ভিত্তিক সেইফটি কমিটি গঠন এবং পরিদর্শন করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তদারকি প্রয়োজন।”
নির্মাণ শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনার জন্য অবিলম্বে পেনশন স্কিম, বাসস্থান, রেশনিং ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইনসাব নেতারা।
সমাবেশে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লা চৌধুরী বলেন, “নির্মাণ শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় কাজ করে যাচ্ছে। কোনো শ্রমিকের কর্মস্থলে নিরাপদ না হলে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকলে কাজে মন আসে না। সরকারের প্রতি দাবি করছি, নির্মাণ শ্রমিকদের ভালো রাখুন।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বিলস-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ, ইনসাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, সহ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকন, দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, অর্থ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম।
ইনসাবের দাবি
* সরকারি উদ্যোগে রাজধানী ঢাকা শহরে থানা ও ওয়ার্ডভিত্তিক এবং সারাদেশে জেলা নির্মাণ কলোনি স্থাপন করে সুলভ মূল্যে দীর্ঘমেয়াদী লিজ দেওয়ার মাধ্যমে নির্মাণ শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিত
* নির্মাণ ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ এবং নির্মাণ শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা
* শ্রম আইনের আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত
* পেনশন বীমা স্কিম চালু, দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, আহত শ্রমিককে সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া
* নির্মাণ শ্রমিকরা তাদের অধিকার বাস্তবায়নে যাতে সহজে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে সে লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা/উপজেলায় শ্রম আদালত স্থাপন এবং ৪২ দিনের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করা
* শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ
* সস্তা ও সুলভ মূল্যে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু
* কর্মস্থলে নির্মাণ শ্রমিকরা যাতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা
* সরকারি উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে থানাভিত্তিক এবং জেলা ও উপজেলায় শ্রম ছাউনি নির্মাণ
* সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে বিদেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা
* বর্তমানে বিদেশে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ
* নারী নির্মাণ শ্রমিকদের সমমজুরি নিশ্চিত