রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়। আবুধাবি হয়ে সোমবার স্থানীয় সময় সকালে জুরিখ পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে ডাভোসে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রয়েছেন।
বাংলাদেশের কোনো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবারই প্রথম ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন বলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।
এবারের সভায় শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোয় বাংলাদেশের মর্যাদা আরও ‘সুসংহত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাহমুদ আলী বলেন, “বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থানের প্রতিফলন এটি। প্রধানমন্ত্রীর সক্ষমতা ও দূরদৃষ্টি যে তাকে বিশ্ব নেতৃত্বে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে, এটা তারও ইঙ্গিত।”
ডাভোস ফোরামের সভায় বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবস্থাপক ও ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও শিল্পখাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন; পাশাপাশি সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
অন্যদের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎজ, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ এবারের সভায় যোগ দিচ্ছেন।
ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস সয়াব এবারের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
১৭ থেকে ২০ জানুয়ারি ডাভোস ও ক্লস্টারসে অনুষ্ঠেয় এবারের সভায় প্রধানমন্ত্রী পানি অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্যপ্রযুক্তি ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেশনে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বক্তব্য রাখবেন।
সভার বাইরে বিভিন্ন দেশের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভা শেষে ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।