সেই সঙ্গে কল্যাণকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন নাকচ করে আদালত বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে তিন দিনের মধ্যে কারা ফটকে গিয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
বুধবার রিমান্ড ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির সামনে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মোটর সাইকেলে থাকা জিয়া আহত হন। মধ্যরাতে জিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কল্যাণও সেখানে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই অভিনেতা ফেইসবুকে ‘আই এম ইনোসেন্ট’ লিখে স্ট্যাটাস দিলে তা অনেকের নজরে পড়ে। পুলিশও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় ডেকে নেয়।
এরই মধ্যে প্রথম আলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাজ্জাদুল কবির কলাবাগান থানায় একটি মামলা করেন। পরে থানায় উপস্থিত কল্যাণ কোরাইয়াকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, “জিয়াকে ধাক্কা দেওয়ার পরে গাড়িটি লাইট বন্ধ করে কিছুক্ষণ থেমে ছিল। পরে এটি চলে যায়। জিয়াকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানোর পর কল্যাণ রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে যান। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, তার গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। তারপর লাপাত্তা হয়ে যান তিনি।”
বুধবার কল্যাণকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান কলাবাগান থানার এসআই ফারুক খান। অন্যদিকে এর বিরোধিতা করে কল্যাণের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারুক মিয়া।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, কল্যাণের গাড়ি ফার্মগেইটে ট্রাকের ধাক্কা খেয়েছিল, পান্থপথে কোনো দুর্ঘটনায় পড়েনি। ওই ঘটনায় তার গাড়িতে থাকা এক বন্ধু আহত হন। তাকে নিয়েই ঢাকা মেডিকেলে গিয়েছিলেন কল্যাণ।
অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আশরাফ-উল আলম শুনানিতে বিভিন্ন দুর্ঘটনার পর দায়ের করা মামলার নজির টেনে জামিনের বিরোধিতা করেন।
বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বলেন, কল্যাণ হাসপাতালে থাকা তার বন্ধুর কাছে যাওয়ার ‘রেফারেন্স’ দিতে পারেননি। এ বিষয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
শুনানি শেষে দুটি আবেদনই নাকচ হয়ে যায় এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
জিয়াকে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল থেকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার ডান পা ভেঙে গেছে। বুকে ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি।