পাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাদিয়া নন্দিতা ইসলাম; তিনি শিক্ষামন্ত্রীর মেয়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘরোয়াভাবে তাদের হলুদের আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং কনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আত্মীয় ছাড়া গণজাগরণ মঞ্চের কয়েকজন ছিলেন পারিবারিক ওই আয়োজনে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ইমরান বলেন, “পারিবারিকভাবেই সব হচ্ছে। ঢাকায় কনের বাড়িতে কাল বিয়ে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বের সহকারী অধ্যাপক নন্দিতা পরিচিতজনদের কাছে তিন্নি নামেই পরিচিত। বেশ কিছুদিন ধরেই পারিবারিকভাবে ইমরানের সঙ্গে তার বিয়ের কথা চলছিল বলে পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়া ইমরান ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত ছিলেন। ‘ইয়ুথ ফর পিস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ বা ওয়াইপিডি নামের একটি সংগঠনও করতেন তিনি, যার মূল লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি।
ওই কাজের জন্য ‘প্রজন্ম ব্লগ’ গঠন করে ওয়াইপিডি। অবশ্য ইমরান নিজে খুব বেশি ব্লগ লেখেননি। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক হিসেবে ইমরান গণজাগরণ মঞ্চে সম্পৃক্ত হলে তাকে মুখপত্রের দায়িত্ব দেন এ আন্দোলনের সংগঠকেরা।
সে সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ইমরান বলেছিলেন, মঞ্চের কাজের ব্যস্ততার জন্যই এতদিন বিয়ের বিষয়ে মনযোগ দিতে পারেননি।
“আসলে এমবিবিএস পাসের পর থেকে বাবা-মাসহ আত্মীয়-স্বজনরা অনেক আগে থেকেই বলছিলেন। এর মধ্যে ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চ গঠন হল, আমি এর সঙ্গে যুক্ত হলাম। ২০১৪-১৫ সালেও মঞ্চের কাজের ব্যস্ততা ছিল, তাই তখন এ নিয়ে ভাবনা চিন্তার অবসর পাইনি।”
“সম্প্রতি কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হয়েছে, মঞ্চের আন্দোলনের পর থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়েও জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওদিকে পরিবার থেকেও বলা হচ্ছে, তাই…।”