ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে গুলি: ডিআইজি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলে গুলি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।

নিজস্ব প্রতিবেদকও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2016, 11:06 AM
Updated : 20 Dec 2016, 11:07 AM

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর মাসদাইর পুলিশ লাইন এলাকায় নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুজ্জামান বলেন, “আইনে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর বিধান রয়েছে। নির্বাচনে কেউ ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছুড়বে। যদি কোনো পুলিশ সদস্য গুলি না ছোড়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের চাহিদার অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিআইজি বলেন, “প্রয়োজন হলে আরও দেওয়া হবে।”

আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে হচ্ছে। বিভিন্ন দলের সাত প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও মূল আলোচনা চলছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিগত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খানকে নিয়ে।

এখন পর্যন্ত পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকলেও শেষ পর্যন্ত যেন তা বজায় থাকে- তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে দুই পক্ষ থেকেই।

এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার ইতোমধ‌্যে জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলের সর্বশেষ বৈঠকে তারা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেয়েছেন, যেখানে এ নির্বাচনী এলাকার ১৭৪টি কেন্দ্রের মধ‌্যে ১৩৭টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এসব কেন্দ্রে গোলযোগের পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

বিষয়টি মাথায় রেখেই ভোটের নিরাপত্তা ব‌্যবস্থা সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আর ডিআইজি নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, এবার নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সাড়ে ৯ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

২২ ডিসেম্বর ভোট

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ

২৭টি ওয়ার্ডে ১৭৪টি কেন্দ্র, ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০৪টি

মেয়র পদের ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ৩৮ জন প্রার্থী

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, “কে সরকারি দল বা কে বিরোধী দল এটা দেখার সময় নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন ও নাগরিকদের নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকল পদক্ষেপ নেবে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এখানে আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই মন্তব্য করে নুরুজ্জামান বলেন, “পুলিশ সদস্যদের বলা হয়েছে, কারও সাথে খারাপ ব্যবহার না করে সকলকে সম্মান দিয়ে কাজ করুন।”

অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মইনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।