অনশন-কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা

চাকরি স্থায়ী করা ও জাতীয় বেতন স্কেলসহ তিন দফা দাবিতে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন ও সারা দেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2016, 08:12 AM
Updated : 10 Dec 2016, 08:12 AM

দাবি আদায়ে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন উদ্যোক্তারা।

একই সময়ে প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বাতিল এবং ডিজিটাল সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া উদ্যোক্তাদের পুনর্বহালেরও দাবি জানানো হয়।

সারাদেশে চার হাজার ৫৪৭টি ডিজিটাল সেন্টারে নয় হাজার ৯৪ জন উদ্যোক্তা কাজ করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

শনিবার বেলা দশটায় শুরু হওয়া মানববন্ধনে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে আসা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা অংশ নেন। এ সময় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১০ সালে ডিজিটাল সেন্টার চালু হওয়ার পর থেকে বিনাবেতনে চুক্তিভিত্তিক সেবা দিয়ে আসছে উদ্যোক্তারা।

কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার থেকে উদ্যোক্তাদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। অনেককে নির্যাতন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সারাদেশের ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রায় তিন হাজার উদ্যোক্তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, গত ৭ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের চুক্তি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ চেয়ারম্যান তা মানছেন না। সেখানে নতুন লোক নিয়োগ করা হচ্ছে।

আরও জানানো হয়, ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদ সৃষ্টি করে একটি পরিপত্র জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ২৮ নভেম্বর এ পদে লোক নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

একই কাজের জন্য আরেকটি পদ সৃষ্টি করার ফলে ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের কোনো কাজ থাকবে না বলে জানান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজান উদ্দিন সোহাগ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “ডিজিটাল সেবা দেওয়ার জন্য গত ছয় বছরে সরকার আমাদের অনেকগুলো প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ধীরে ধীরে এ কাজে আমাদের দক্ষতা বেড়েছে। এখন এই কাজের জন্য আবার আরেকজনকে নিয়োগ দিলে আমাদের কাজের জায়গা কমে যাবে।

“সারাদেশে আমরা প্রায় ১০ হাজার উদ্যোক্তা ক্ষতির মুখে পড়ব। ১০ হাজার পরিবার পথে বসবে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।”