নারায়ণগঞ্জে প্রার্থী-সমর্থকদের আচরণে রিটার্নিং কর্মকর্তার সন্তোষ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পাঁচ দিনে আচরণবিধি প্রতিপালনের ক্ষেত্রে প্রার্থী ও সমর্থকদের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2016, 04:32 PM
Updated : 9 Dec 2016, 04:32 PM

শুক্রবার নির্বাচনী এলাকায় আট ঘণ্টা সরেজমিন ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনের এই উপসচিব।

তিনি বলেন, শনিবার নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্যে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেছেন তিনি। কোথাও কোনোও অভিযোগ পাননি।

“এখন পর্যন্ত সবাই আচরণবিধি অনুসরণ করছেন। আমরা খুবই সন্তুষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে। … আচরণবিধি নিয়ে সচেতন না থাকায় বিধি লঙ্ঘনে কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। এখনো বড় ধরনের কোনো বিধি লঙ্ঘন ঘটেনি।”

দলভিত্তিক প্রথম এ সিটি নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর কাউন্সিলরদের আচরণবিধি মানায় সতর্ক করতে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়েও বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।

নুরুজ্জামান বলেন, “মেয়রদের সঙ্গে বসেছি; প্রয়োজনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বসব আমরা।”

রিটার্নিং কার্যালয়ে কর্মকর্তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এ পর্যন্ত অন্তত এক ডজন অভিযোগ এসেছে।

বৃহস্পতিবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের শফি উদ্দীন অভিযোগ করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুজ্জামান মনির আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ২০০ ভোটারকে বিরিয়ানি সরবরাহ করে ভোট চেয়েছেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্রাফিল প্রধান বিধি লঙ্ঘন করে মাইক ব্যবহার করছেন।

মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্পের লোকজনকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে চাষাঢ়া মোড়ে প্রার্থীর পোস্টার সরিয়ে অন্যজনের পোস্টার লাগানো হচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী হাকিম এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে একহাজার টাকা জরিমানা করেছি, কয়েকজনকে সতর্ক করেছি। সার্বিকভাবে প্রার্থীরা বিধি প্রতিপালন করছে।”

এই নগরীতে আগামী ২২ ডিসেম্বর ভোট হবে। এতে মেয়র পদে সাত জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।