গেণ্ডারিয়ার ওসি কাজী মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সকালে দয়াগঞ্জ মোড়ের মোকসেদ হোটেল থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরকে থানা হেফাজতে নিয়ে যান তারা।
হোটেল মালিক আমিরুল ইসলাম পুলিশকে বলেছেন, গত ২ ডিসেম্বর তিনি সদরাঘাটে ওই কিশোরকে পান। ছেলেটি তাকে জানায়, বাবার সঙ্গে রাগ করে সে ঢাকায় চলে এসেছে, আর ফিরবে না। এরপর তিনি তাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন এবং হোটেলের কাজে লাগিয়ে দেন।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, উপজেলা সদরের জামিয়াতুল নাফিজিয়া আল ইসলামিয়া মার্কাস মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ওই ছাত্র ‘নিখোঁজ’ জানিয়ে ৩ ডিসেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা।
ছেলেটিকে ফিরিয়ে আনতে থানার একটি দল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওই কিশোরের মা বলেন, ছেলে নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পর তার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। সেখানে ক্ষমা চেয়ে চিন্তা না করতে বলে তার ছেলে। কিন্তু ওই এসএমএস নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর খবর ছাপা হয়।
সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই হোটেলের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং ছেলের খোঁজ পান বলে জানান তার বাবা।
মা অভিযোগ করেন, তার ছেলে আবাসিক মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয় ১ ডিসেম্বর। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের খবর দিয়েছে দুই দিন পর। আর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও শুরুতে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি বলে অভিযোগ তার।