রোকেয়া পদক নিলেন অ্যারোমা দত্ত ও নূর জাহান

নারী জাগরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সমাজকর্মী অ্যারোমা দত্ত ও শিক্ষিকা বেগম নূরজাহানের হাতে চলতি বছরের বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2016, 05:39 AM
Updated : 9 Dec 2016, 08:27 AM

বেগম রেকেয়া দিবস-২০১৬ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই পদক বিতরণ করে বলেন, এখন দুজনকে প্রতিবছর এ স্বীকৃতি দেওয়া হলেও আগামীতে পাঁচজনকে রোকেয়া পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

“তৃণমূলে যারা সীমিত সুযোগ নিয়ে নারী জাগরণে, নারী শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের মধ‌্য থেকে পাঁচজনকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।”

পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবি তুলে ধরা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাতনি অ্যারোমা দত্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী জাগরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছেন। বর্তমানে আছেন বেসরকারি সংস্থা প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক পদে।

১৯৫০ সালের ২০ জুলাই কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া অ্যারোমা দত্ত শহীদ পরিবারের সন্তান। তার দাদা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং কাকা দিলীপ দত্তকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যারোমার বাবা ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক সঞ্জীবদত্ত, যিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অবজারভারের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে কাজ করেছেন।

আর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নূর জাহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা সেলাই করেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী এই নারী শিক্ষকতা করতেন। দুই দফা জাতীয় মহিলা সংস্থার কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃত্ব দেন তিনি।

নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং গ্রামবাংলার লোকজ সাহিত‌্য-সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নারী জাগরণ ও পল্লী উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন দুজন বাংলাদেশি নারীকে প্রতি বছর রোকেয়া পদকে ভূষিত করা হয়। প্রত‌্যেকে পান দুই লাখ টাকা ও ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম সোনার একটি করে পদক।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছর বেগম রেকেয়া দিবসে এই পদক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৯ জন নারীকে এ পদক দেওয়া হয়েছে।