বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই তথ্য জানার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও একই খবর পাওয়া যায়।
আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও আগামী ১৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই সফরটি স্থগিত হয়েছে।”
কী কারণে সফরটি হচ্ছে না, সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
“আমরা এখন সফরের নতুন দিনক্ষণ ঠিক করতে কাজ করব”, বলেন ওই কর্মকর্তা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনার এই সফর হওয়ার কথা ছিল। মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম সফরের পর তার জমানায় শেখ হাসিনার এটাই হওয়ার কথা ছিল দ্বিপক্ষীয় প্রথম সফর।
এর আগে গত অক্টোবরে ভারতের গোয়ায় ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তখন মোদীর সঙ্গে তার বৈঠকও হয়েছিল।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও এবারের সফর ঘিরে নানা আলোচনা চলছিল, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও আসছিল নিয়মিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও বলে আসছিলেন, শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।