জঙ্গি আস্তানায় অভিযান: কল্যাণপুরের মামলায় প্রতিবেদন জমা ফের পেছালো

ঢাকার কল্যাণপুরের আস্তানায় অভিযানে হতাহত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে।

বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে পুলিশের তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম তৃতীয় বারের মতো দিয়ে ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই আলতাফ হোসেন জানান, এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর ও ৩১ অক্টোবর- দুবার প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছানো হয়।

গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে ‘জাহাজ বাড়ি’ নামে পরিচিত তাজ মঞ্জিলের ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযানে গিয়ে রাতে হামলার মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরদিন ভোরে সেখানে সোয়াটের বিশেষ অভিযানে নিহত হন সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি। আহত অবস্থায় রাকিবুল হাসান রিগান নামে একজনকে উদ্ধার করা হয়।

ওই বাসায় অস্ত্র, বিস্ফোরকের পাশাপাশি আইএস এর পতাকা ও কালো পাঞ্জাবি পাওয়ার কথা জানালেও পুলিশের ধারণা, হতাহতরা সবাই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবির সদস্য।

মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা করেন।

ওই ঘটনায় নিহত নয়জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরা হলেন- দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ (২৩), পটুয়াখালীর আবু হাকিম নাইম (২৪), ঢাকার ধানমণ্ডির তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), ঢাকার গুলশানের আকিফুজ্জামান খান (২৪), ঢাকার বসুন্ধরার সেজাদ রউফ অর্ক (২৪), সাতক্ষীরার মতিউর রহমান (২৪) এবং নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন (২২) এবং রংপুরের পীরগাছার রায়হান কবির (২০)।

হতাহত ১০ জন ছাড়াও ইকবাল, তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল, আজাদুল ওরফে কবিরাজের নাম আসামির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আর তাজ মঞ্জিলের মালিকের স্ত্রী মমতাজ পারভীন ও ছেলে মাজহারুল ইসলামসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।