আপিল বিভাগের দেওয়া তিন মাসের জামিনের রায় পুর্নবিবেচনা ও জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পৃথক আবেদনের নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারকের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
সেইসঙ্গে শফিক রেহমানের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও মো. আসাদুজ্জামান।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, “জামিনের জন্য শফিক রেহমানকে এখন বিচারিক আদালতে যেতে হবে।”
শফিক রেহমানের আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, শফিক রেহমানকে আপিল বিভাগের দেওয়া তিন মাসের জামিনের মেয়াদ শেষ হয় ৩০ নভেম্বর। ১৫ নভেম্বর জামিন আদেশ পুর্নবিবেচনা চেয়ে একটি আবেদন করা হয়েছিল। পরে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোরও জন্যও আবেদন করা হয়।
“আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়ে শফিক রেহমানকে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করতে বলেছে। তার জামিন আবেদন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশও দিয়েছে আপিল বিভাগ।”
আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে মামলাটির শুনানির দিন নির্ধারিত আছে বলে এই আইনজীবী জানান।
সেই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিএনপিঘনিষ্ঠ এই সম্পাদককে। ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে জয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য ও গোপনীয় নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি।
অন্যদিকে শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানের দাবি, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ হিসেবে নিবন্ধ লেখার জন্যই তার স্বামী ওইসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।
এই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন না মঞ্জুর হলে শফিক রেহমান হাই কোর্টে আবেদন করেন, যার ওপর শুনানি শেষে ৭ জুন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্টের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়।
এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে শফিক রেহমান লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) করে জামিনের আবেদন করলে ২৯ জুন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তা ১৪ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
শুনানি শেষে ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৭ জুলাই আপিলের অনুমতি পান তিনি। পরে আপিল শুনানি শেষে ৩১ আগস্ট রায় দেয় আপিল বিভাগ।
রায়ে তিন মাস বা এই মামলায় পুলিশের প্রতিবেদন দাখিল করা পযন্ত শফিক রেহমানকে জামিন দেওয়া হয়।